আপনার মানসিক সাস্থের দিকে নজর দিচ্ছেন তো?

দেহের একটু সমস্যা হলে আমরা ছুটে যাই ডাক্তারের কাছে। কখনো কি মানসিক সাস্থের কথা চিন্তা করেছেন? আমার মনে হয় করেন নাই। আপনার শরীর ভালো এবং সুস্থ থাকার সাথে মানসিক সাস্থের একটি অনেক বড় মিল রয়েছে।
তাই আপনার মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার উপায় সম্পর্কে জানা অনেক জরুরী। 

আজকে আমি মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার উপায় নিয়ে কিছু আলোচনা করবো। আশা করি আমার লেখাটি পুরোটা পড়বেন। এর কারণ এতে আমার কোন উপকার নেই। যত উপকার আপনি নিজেই পাবেন। আসুন জেনে নেই, মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার উপায়।
mental health

মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার উপায়

ওয়েবে অনেকেই অনেক ধরণের লেখা পড়ে থাকেন। বেশির ভাগ লেখাই থাকে অপ্রাসাঙ্গিক, আসল কথা পাওয়া যায় না। যাই হোক, চলুন জেনে নেয়া যাক আসল কথা।
মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে আপনাকে বেশ কয়েকটি কাজ করতে হবে।

১. পরিবারের লোকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা

কারণ যেকোনো মানুষের সবচেয়ে আপনজন হচ্ছে তার পরিবারের লোক। যেমন বাবা, মা, ভাই, বোন দাদা, দাদী ইত্যাদি। যদি তাদের সাথে কথা বলেন, তাদের খোঁজ খবর নেন তবে আপনার মনের ভিতরে যে কাজের প্রেসার অনেকটা হালকা হবে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? এখুনি একবার কথা বলে দেখুন, সাথে সাথে ফলাফল পেয়ে যাবেন।

২. বউ/স্বামীকে কে পর্যাপ্ত সময় দিন

অনেকেই আছে বউকে সময় দেয় না কিংবা স্বামীকে সময় দেয় না। সারাদিন শুধু কাজ নিয়ে পড়ে থাকে আর রাতে এসে একই বিছানায় ঘুমায়। এমনটা করলে মানসিক স্বাস্থ্য কখনোই সুস্থ থাকার কথা নয়। বউ কিংবা স্বামীর সাথে গল্প করুন হাতে সময় না থাকলে গল্প করার সময় বের করুন। এতে করে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য অনেক ভালো থাকবে। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য এবং স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য তো আছেই।

৩. আড্ডা দিন

কাজের সময় নেই আবার আড্ডা! হ্যাঁ আড্ডা। মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে আড্ডা অনেক উপকারী একটি বিষয়। এখন কথা হল, কাদের সাথে আড্ডা দেবেন? আসলে খুব ভালো প্রশ্ন। যাদেরকে আপনার বিরক্ত লাগে তাদের সাথে কখনোই আড্ডা দেবেন না। এতে করে বিপরীত হতে পারে। আড্ডা দেবে আপনার ভালোলাগার মানুষের সাথে। অর্থাৎ যাদের সাথে আড্ডা দিলে আপনার বিরক্ত লাগে না।

৪. ঘুরতে যান

সারাদিন রাত একঘিয়েমি কাজ করলে মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই সপ্তাহে একদিন অথবা দুই দিন ঘুরতে যাওয়া উচিৎ। এতে মন মেজাজ ভালো থাকবে এবং মানসিক স্বাস্থ্যও থাকবে সুস্থ।

৫. পর্যাপ্ত ঘুমান

অনেকেই কাজের চাপে অফিসে কাজ করার পাশাপাশি বাড়িতে এসেও কাজ করে থাকেন অনেক রাত পর্যন্ত। এটি করা মোটেও উচিৎ নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ মানুষকে ৬-৯ ঘণ্টা ভালো ঘুম দরকার। এতে শরীর মন দুটোই ভালো থাকবে সাথে সতেজ থাকবে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য। 

৬. নামাজ পড়া

নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ থাকে। কারণ নামজের মাধমে স্রষ্টার সাথে একটি সম্পর্ক তৈরি হয়। এছাড়াও নামাজের উপকারিতা রয়েছে অনেক। 

বন্ধুরা আজ এই পর্যন্ত। আরও সুন্দর সুন্দর লেখা নিয়ে হাজির হব কোন এক সময়। ততদিন ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। মানবতার জয় হোক। আল্লাহ হাফেজ।

সোর্সঃ HelpTuneBD.com

আমার লেখাটি যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনার কোন উপকারে আসে তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। 

Comments

Popular posts from this blog

জোহরের নামাজের উপকারিতা- বিজ্ঞান কি বলে?

নামাজ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা কি বলে? আপনি কি জানেন?

জুমার দিনে কি কি কাজ করতে হয় এবং কেন?